আজ শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে একটি স্বর্ণের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান। পরে মাধবদী বাজার বড় মসজিদের মাইকে আগুন লাগার ঘোষণা দেওয়া হলে আশপাশের ব্যবসায়ীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আগুন নেভানোর কাজে লাগেন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের মাধবদী, নরসিংদী ও পলাশের ৫টি ইউনিট এসে প্রায় ৪ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

ঘটনার পরপর বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী সদরের সাবেক এমপি খায়রুর কবির খোকন, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাশেদ হোসেন চৌধুরী, নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. আ. হান্নান, নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রাশেদুল হাসান রিন্টু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা সরকার, নরসিংদী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবু সালেহ চৌধুরী, নরসিংদী জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম, সহ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শোক প্রকাশ ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে অধিকাংশই ছিলো মুদি মনোহরী, ইলেক্ট্রিক ও স্বর্ণের দোকান। বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ ও দোকানের মালামালের মাধ্যমে আগুন দ্রুতই চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, আগুন এতোটাই ভয়াবহ ছিল যে মুহূর্তের মধ্যেই তা বাজারের মুড়িপট্টির একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। পরে, স্থানীয় ব্যবসায়ী, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ’র স্বেচ্ছাসেবী টিম ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টায় বেলা ১০টার দিকে আগুন পুরোপুরি নির্বাপিত হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবী, এই ঘটনায় অন্তত শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে, যার মধ্যে রয়েছে ১০টি স্বর্ণের দোকান। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অন্তত শত কোটি টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্বর্ণের দোকান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে দাবী ব্যবসীয়দের। তবে কোন দোকান থেকে এবং কী কারণে আগুন লেগেছে—তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মাধবদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রায়হান আহমেদ জানিয়েছেন, ভোর ৫টার দিকে আগুনের সংবাদ পেয়ে দ্রুতই কাজ শুরু করে মাধবদী ফায়ার সার্ভিস। পরবর্তীতে নরসিংদী ও পলাশের ইউনিটসহ মোট পাঁচটি ইউনিট যুক্ত হয়ে সকাল ১০টার দিকে পুরোপুরি নির্বাপন করতে সক্ষম হয়। দুর্ঘটনায় কোন প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। অগ্নিকান্ডের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। ব্যবসীয়দের দাবী সেখানে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।