শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আড়াইহাজার উপজলোর সাতগ্রাম ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মাহবুবদের বাড়িতে গিয়ে গত ১৫ অক্টোবর, বুধবার রাতে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় রসুলপুর উত্তরপাড়ার জাইল্যা বাড়ীর ভয়ংকর মাদক কারবারি বাতেন ও তার দুই ছেলে সাজাহান ও আজিজুল। দীর্ঘদিন যাবত বাতেন ও তার ছেলেরা এলাকায় ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাজা ও নানান নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রি করে আসছে কিন্তু এলাকাবাসী তাদের মাদক বিক্রিতে বাধ সাধলে তারা ক্ষুব্ধ হয়েবএ হামলার ঘটনা ঘটায়। মাদক ও চাঁদাবাজদের আতংক জননেতা নজরুল ইসলাম আজাদ এলাকায় কোন মাদকের কারবার চলবে না বলে ঘোষণা দেন । এরই পরিপ্রেক্ষিতে নজরুল ইসলাম আজাদের বিশ্বস্ত কর্মী ও সহযোদ্ধা সাতগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি রেজাউল করিম শুক্রবার জুমার নামাজের পর মাদকের বিরোদ্ধে জোড়ালো বক্তব্য রাখেন। এতেই ক্ষুদ্ধ হয় বাতেন ও তার ছেলেরা। তাদের মাদক ব্যবসায় ভাটা পরায় সুযোগ খুঁজতে থাকে কিভাবে করিম ও তার পরিবারকে বিপদে ফেলানো যায়। করিমকে বিতর্কিত করতে পারলে নজরুল ইসলাম আজাদের সুনাম ক্ষুন্ন হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নের দৌড়ে নজরুল ইসলাম আজাদের ধারে কাছে কেউ নাই।তাই কুচক্রি মহল নজরুল ইসলাম আজাদকে বিতর্কিত করতে তার স্নেহধন্য রেজাউল করিমের পিছু লেগেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার সন্ধ্যায় রসুলপুরে মাদক ব্যবসায়ী বাতেন গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করিম ও তার পরিবারের সদস্যদের নাম জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় বুধবার সন্ধ্যায় মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ার কারণে কেন্দ্রীয় মসজিদ বাড়ির মাহবুরকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাতেন, সাজাহান এবং আজিজুল অস্ত্রশস্ত্র সহ তাদের বাহিনী নিয়ে মাহবুবের বাড়িতে যায়।এসময় তারা রামদা, ছেনি, চাইনিজ কুড়াল, টেটাসহ নানান অস্রে সজ্জিত হয়ে মাহবুবকে আক্রমন করলে গ্রামের মানুষজন এগিয়ে আসে। এলাকাবাসীর তীব্র প্রতিরোধ ও জনরোষে আহত হয় বাতেন ও আজিজুল। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বাতেন। কিন্তু এই ঘটনার সাথে সজ্জন রাজনীতিবিদ রেজাউল করিম ও তার পরিবারের কোন সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও একটি পক্ষ এটিকে রাজনৈতিক রং দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।
তাই রেজাউল করিম ও তার পরিবার সহ কোন নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চেয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।