বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন
নরসিংদীর মাধবদীতে অটোরিকশাচালক মোঃ রমজান আলীর (৩২) নিখোঁজের ২১ দিন পর ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে উদ্ধার হলো বস্তাবন্দি মৃত দেহ। এহত্যাকান্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে ৩ জন গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন কুমিল্লার হুমনা থানার জয়পুর গ্রামের জব্বার মিয়ার পুত্র মোঃ কাউছার মিয়া, নরসিংদীর মাধবদী থানার কবিরাজপুর গ্রামের হাছান আলীর পুত্র শামীম, রাইনাদি গ্রামের লোকমান মিয়ার পুত্র মোঃ সজিব মিয়া। খুনিদের স্বীকারোক্তি ও তাদের বর্ণনামতে আজ (১১ জুলাই) ভোরে মাধবদী কবিরাজপুর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে রমজানের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা যায় দুই নারীর সাথে ত্রিকোণী পরকিয়ার জের ধরে রমজানের বন্ধু কাউছার, শামীম, সজিবসহ কয়েকজনের মধ্যে দ্বন্ধ ছিল। সেই জের থেকেই কাউছারের নেতৃত্বে রমজানকে হত্যা করে হাত, পা বেঁধে সিমেন্টের পাল্লার সাথে বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়। দীর্ঘদিন খোঁজাখোঁজির পরও রমজানকে না পেয়ে পুলিশ, র্যাব, পিবিআইসহ বিভিন্ন সংস্থায় অভিযোগ করে রমজানের পরিবার। একপর্যায়ে পিবিআইয়ের জালে ধরা পরে কাউছারসহ আসামীরা। কিন্তু তারা হত্যার কথা স্বীকার করছিল না। গতকাল ১০ জুলাই নরসিংদী জেলার পুলিশির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মাধবদী থানা পুলিশ আসামীদের বহুল জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হত্যার কথা স্বীকার করে আসামীরা। পরে আসামীদের তথ্যমতে আজ ভোরে রমজানের বস্তা বন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বহুদিন পানির নিচে থাকায় লাশ পঁচে যাওয়ায় নরসিংদী ময়না তদন্ত না হওয়ার ফলে ময়না তদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করবে পুলিশ।
উল্লেখ্য যে গত ২২ জুন রমজানের স্ত্রী তানজিলা আক্তার মাধবদী থানা জিডি করেন যে তার স্বামী গত ২১ জুন অটোরিক্সা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। অভিযোগে সজিব ও কাউছারের নাম উল্লেখ করে তাদেরকে সন্দেহজনক ভাবে আসামী করেছিল নিহতের স্ত্রী।