বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:০০ অপরাহ্ন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়াতে ও ঝরে পড়া রোধ করতে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে নতুন নিয়ম জারি করেছে সরকার। এখন থেকে কেবল বছরের শুরুতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরাই প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে। এপ্রিল মাসের পর নতুন করে ভর্তি হওয়া কোনো শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। এই সিদ্ধান্তকে সরকারের একটি কৌশল হিসেবে দেখছেন শিক্ষকরা, যার মাধ্যমে ভালো মানের শিক্ষার্থীদের সরকারি স্কুলের প্রতি আকৃষ্ট করা এবং ভর্তির হার বাড়ানো সম্ভব হবে।
নতুন এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, এখন থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত করা হবে। উপজেলা শিক্ষা অফিসে এপ্রিল মাসে যে শিক্ষার্থীদের তথ্য জমা দেওয়া হয়েছে, শুধুমাত্র তাদেরই প্রবেশপত্র দেওয়া হবে। ফলে, বছরের মাঝামাঝি সময়ে অন্য কোনো স্কুল থেকে আসা বা নতুন ভর্তি হওয়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির দরজা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
এই বিষয়ে ভগীরথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবিকুন নাহার জানান, “এপ্রিল মাসেই উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে আমাদের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এর ফলে এই শ্রেণিতে নতুন করে আর কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ থাকছে না এবং শুধুমাত্র পুরনো শিক্ষার্থীদের তথ্যই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।”
এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আনন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরে আরা বলেন, “সরকারি স্কুলে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় ভালো মানের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে চায় না। সরকারের এই নতুন নিয়মটি শিক্ষার্থীদের সরকারি স্কুলের প্রতি ভিড়ানোর একটি কৌশল হতে পারে।”
শিক্ষকদের মতে, এই সিদ্ধান্তের ফলে এখন থেকে অভিভাবকরা বছরের শুরুতেই তাদের সন্তানদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর জন্য আরও বেশি আগ্রহী হবেন, যা সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়নে একটি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে।