শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩৯ অপরাহ্ন

শিরোনাম:
মাধবদীতে চালু হলো রয়েল কেক: মানসম্মত খাবার ও রকমারি মিষ্টান্নের নতুন ঠিকানা নরসিংদীর শিবপুরে পবিত্র আজিমুশ্বান ইসলামী জলসা অনুষ্ঠিত সুজন নরসিংদী জেলা কমিটি পুনর্গঠন ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে সাংবাদিক শাকিলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ গণপিটুনীতে মাদক কারবারী নিহতের ঘটনাকে রাজনৈতিক রং লাগাতে একটি মহলের অপচেষ্টা: এস আলমের নিয়োগকৃতদের ছাঁটাইয়ের দাবিতে ইসলামী ব্যাংক মাধবদী শাখার সামনে মানববন্ধন চরদীঘলদী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক সহ ৩ সদস্যকে কারণ দর্শানোর নোটিশ নরসিংদী জেলা পুলিশের সফল অভিযান, এক সপ্তাহে হত্যাকাণ্ডের আসামীসহ ২০০ জনের অধিক আসামী গ্রেফতার মহিষাশুড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুফতি কাউছারের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মারধর ও হেনস্তার অভিযোগ নরসিংদীতে তরুণদের প্রযুক্তি উৎসব: আইসিটি অলিম্পিয়াড ২০২৫ অনুষ্ঠিত

রাতের আঁধারে মসজিদের সৌন্দর্য নষ্ট, ফুলের চারা কেটে ফেলল দুর্বৃত্তরা

মোঃ নুর আলম / ৯৪ পাঠক
প্রকাশকাল শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩৯ অপরাহ্ন

নরসিংদী সদর উপজেলার নুরালাপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাহেরচর জামে মসজিদের সামনের সৌন্দর্য বর্ধনকারী ফুলের বাগানটি রাতের আঁধারে কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। যে বাগানটির ফুলের সৌরভে একসময় চারপাশ মৌ মৌ করতো, সেখানে এখন শুধুই ধ্বংসের চিহ্ন। এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও সামাজিক বিভাজনের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মসজিদের সামনে সারিবদ্ধভাবে লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চারা গাছগুলো ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, মসজিদের সৌন্দর্য বাড়াতে এবং মুসল্লিদের জন্য একটি মনোরম পরিবেশ তৈরি করতে এই ফুলের বাগানটি তৈরি করা হয়েছিল। প্রতিদিনের নামাজের আগে ও পরে মুসল্লিরা এই বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করতেন। কিন্তু রাতের আঁধারে কে বা কারা এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকার সাধারণ মানুষ এটিকে কেবল একটি সৌন্দর্যহানি হিসেবে দেখছেন না, বরং এটিকে মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট করার একটি অপচেষ্টা হিসেবে গণ্য করছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে ছবি পোষ্ট করেছেন।

মসজিদের মুসল্লি মোঃ জাকারিয়া বলেন, “যারা এমন জঘন্য কাজ করতে পারে, তারা সমাজের শত্রু। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, অবিলম্বে তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক।”

এলাকার এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, “বহু বছর ধরে এই গ্রামে বাস করছি, কিন্তু এমন ঘটনা আগে কখনো দেখিনি। তুচ্ছ বিষয়ে আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু মসজিদের মতো একটি পবিত্র স্থানের এমন ক্ষতি কেউ করতে পারে, তা আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না।”

এই ঘটনাটি এলাকায় সামাজিক বিভাজনের জন্ম দিয়েছে। একে অপরকে দোষারোপ করার একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যা গ্রামের সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা পরিস্থিতি শান্ত করার এবং দোষীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন। তারা এলাকাবাসীকে শান্ত থাকার এবং কোনো ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।