শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪০ অপরাহ্ন
আনন্দ টিভি পরিচালনা পর্ষদের গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আর্থিক দূুর্নীতি এবং নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনায় প্রশান্ত কুমার দাস কথাকে প্রতিষ্ঠান থেকে বহিস্কার করায়, চ্যানেলের এইচ,আর (এডমিন) মোঃ সাইফুল ইসলামকে অফিসের স্টাফদের সামনে নানা ভয়ভিতি ও দেখে নেয়ার হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রশান্ত কুমার দাস কথার বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা সংবাদ থেকে রক্ষা পেতে কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম গত ১০ মার্চ বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে প্রশান্ত দাস কথা আনন্দ টিভিতে ডেপুটি এডিটর (ডিএনই) পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি টিভির মালিক কর্তৃপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে সংবাদ বিভাগে একক ক্ষমতাধর ব্যক্তি বনে যান। শুরু হয় তার চাঁদাবাজী, সংবাদ পাঠিকাদের নিয়োগ চুড়ান্ত করার প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলা, অযাচিত ও ভুলভ্রান্তি সংবাদ প্রচার করে বিতর্কের সৃষ্টি করা সহ নিষিদ্ধ ও বিতর্কিত সংগঠন ইসকন সম্প্রদায়ের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার বেশ কিছু তথ্য প্রমান পায় কর্তৃপক্ষ।
তাছাড়া দু’জন জেলা প্রতিনিধি ইতোমধ্যেই তার বিরুদ্ধে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করার পাশাপাশি তার চাঁদাবাজির সকল তথ্য প্রমান সংগ্রহে রেখেছেন বলে জানা যায়। র্যাব কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আইন শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মকর্তাদের ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেন বিপুল পরিমানের অর্থ। এ সব ভুক্তভোগী সরকারি কর্মকর্তাদের অনেকে আনন্দ টিভির পরিচালনা পর্ষদের কাছে অভিযোগ করেছেন। এ সব ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংবাদ মাধ্যমে নিউজ ছাপা হয়।
এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৯ মার্চ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা চ্যানেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান তৌফিক আব্বাসের কাছে অভিযোগ করেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা প্রশান্ত দাস কথাকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসর আখ্যা দিয়ে তার পদত্যাগের দাবি জানান। এ সময় ছাত্ররা ২ দিনের মধ্যে তাকে সরিয়ে দেয়ার জন্য আল্টিমেটাম প্রদান করেন।এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ গত ১০ এপ্রিল এক জরুরি বৈঠক করে তাকে তার ডিএনই পদ থেকে বরখাস্ত করেন ।
তিনি তার নির্ধারিত অফিস কক্ষে তার মালামাল নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় এইচ,আর এডমিনকে দেখে চরম ঔদ্ধত্যপুর্ন আচরন করেন, তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের আরো এক চাকুরীচ্যুত প্রোগ্রাম ম্যানেজার রেজাউল হক অপুকে দিয়ে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি ভুয়া, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হেয় প্রতিপন্ন ভিডিও প্রকাশ করার পাশাপাশি অফিসের স্টাফের সামনে তা অকপটে স্বীকার করে রেজাউলকে দিয়ে আরো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ভিডিও বানিয়ে হেয় করার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে আনন্দ টিভির অফিসের স্টাফদের সাথে কথা বললে এর সততা পাওয়া যায়।
এইচ,আর এডমিনের বনানী থানার জিডি সুত্রে জানা যায়, চাকুরীচ্যুত রেজাউল ও সাাবেক ডিএনই প্রশান্ত কুমার দাস কথার যোগসাজশে এইচ,আর এডমিন মোঃ সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভুয়া ভিডিও বানিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় অপ প্রচার করে আসছে। ডিএনই চাকুরীচ্যুত হলেও এইচ,আর এডমিন যেন শান্তিতে থাকতে না পারে সেজন্য রেজাউলকে দিয়ে ভিডিও বানিয়ে আবারো সোস্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্মে সংবাদ প্রচারের হুমকি দিয়েছেন। সেই সাথে তার সাথে যুদ্ধ শুরু হলো বলেও থ্রেট করেন। যা বনানী থানায় লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রাসেল সরোয়ার বলেন, জিডির বিষয়ে তদন্ত চলছে।এব্যাপারে খুব দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।