বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:০০ অপরাহ্ন
নরসিংদীর মাধবদীতে সরকারি প্রাথমিক বৃত্তিতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে মাধবদী থানা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশন।
শনিবার, ০২ আগস্ট সকাল ১০টায় মাধবদী পৌরসভার সামনে এই কর্মসূচিতে কয়েকশ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক অংশ নেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা সরকারি স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকা সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানান। এই সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে তারা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন।
আন্দোলনরত ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাওহিদুল ইসলাম শামীম বলে, “আমরাও দেশের ছাত্র, ভালো ফলাফলের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করি। শুধু সরকারি স্কুলে না পড়ার কারণে বৃত্তির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। এটা আমাদের প্রতি অবিচার।”
আরেকজন শিক্ষার্থী ক্ষোভের সঙ্গে বলে, “এই সিদ্ধান্তের কারণে আমরা হতাশ। আমাদের মেধা যাচাইয়ের সুযোগ কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, এই বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত বাতিল করে সকল শিক্ষার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করুন।”
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মাধবদী থানা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি ইঞ্জি. মফিজুল ইসলাম। মাধবদী থানা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সেক্রেটারী আব্দুল মালেক মোল্ল্যার সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন মাধবদী সতি প্রসন্ন ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সজল চন্দ্র সরকার, এসোসিয়েশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এমদাদুল ইসলাম খোকন, মাধবদী প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ সাদী, মাধবদী থানা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনর সহ-সভাপতি সঞ্জয় কুমার সাহা, সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মুছা মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মনির হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হুজাইফা আল মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল হামিদ এবং শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবা আক্তার রোজি, নির্বাহী সদস্য সাইফুর রহমান সায়েম।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বেসরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে প্রাথমিক বৃত্তির আয়োজন দেশের সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তারা অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং সব শিক্ষার্থীর জন্য বৃত্তি পরীক্ষা উন্মুক্ত করার আহ্বান জানান। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন তারা।
সারাদেশের বিভিন্ন স্থানেই একই দাবিতে কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন। তারা বলছেন, বৃত্তি শুধু আর্থিক অনুদান নয়, এটি শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস, সামাজিক স্বীকৃতি ও শিক্ষার অনুপ্রেরণা। এই ধরনের সিদ্ধান্ত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর মধ্যে হীনম্মন্যতা তৈরি করবে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।